The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪

ভেটেরিনারি হাসপাতালের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় চলে আসছে – ডিএলএসের মহাপরিচালক

রায়হান আবিদ, বাকৃবিঃ সারা দেশে আমাদের ভেটেরিনারি সার্ভিস ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে। যে কোনো রোগ নিরাময়ে আমরা দ্রুত কাজ করি। বর্তমানে মোবাইল ফোনে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের সেবা আমাদের দোরগোড়ায় চলে আসছে ফলে হাসপাতালে যেতে হয় না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই এখন তথ্য সেবা সহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে ভেটেরিনারি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ জোরদারকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ড. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ড. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। এছাড়াও ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষাথর্ী সময় উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাঃ ইলিয়াছুর রহমান ভূঁইয়া।

ডিএলএসের মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা বর্তমানে মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে প্রতিবছর ৬২ কোটি টাকার মাংস উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় হুমকি হলো এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট (এএমআর), যা আমাদেরকে সবাই মিলেই মোকাবেলা করতে হবে। ডিএলএসের অনেক কর্মকর্তা পিএইচডি ডিগ্রিধারী। যা আমাদের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক কাজ হচ্ছে। ভেটেরিনারিতে কাজের ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিএসে পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নিবো।

এসময় উপাচার্য লুৎফুল হাসান বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের লব্ধ জ্ঞান মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের এই দক্ষতাগুলো কাজে লাগাতে হবে। দেশের নিউট্রিশন চাহিদা যদি পূরণে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটনরা কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করে স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হবে। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতেই আজকের এই আয়োজন। এই প্রশিক্ষণ গুলো আরো ভালোভাবে নেওয়া যায় কিনা সেদিকে আমাদের জোর দিতে হবে। এই দক্ষ মানুষগুলোকে বিদেশে পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.