The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

বৃষ্টির বাঁধা উপেক্ষা করে বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা ব্লকেড; পুলিশের শক্ত অবস্থান

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে গোপালগঞ্জ শহর-ঘোনাপাড়া বাইপাস সড়ক অবরোধ করে ৭ম দিনের আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা সাড়ে ৩ টা থেকে বাইপাস সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কোটা বিরোধী আন্দোলনে শামিল হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে গোপালগঞ্জ শহর-ঘোনাপাড়া বাইপাস সড়ক অবরোধ করেন। এসময় পুলিশের শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এদিকে গতকাল ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে (বাইপাস সড়ক) ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সড়ক অবরোধকালে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফাঁকা রাস্তায় ফুটবল খেলতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তবে অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য জরুরী সেবার পরিবহন নির্বিঘ্নে চলাচল করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বহনকারী বাসও চলাচল বন্ধ থাকে।

সারাদেশে চলমান কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে বশেমুরবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থী। এক দফা দাবিটি হলো, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, নারী, প্রতিবন্ধীদের জন্য যথাযথ কোটা রেখে কোটা সংস্কার করতে হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্য কতোখানি কোটা বরাদ্দ করা প্রয়োজন তা নিয়ে স্থায়ী সমাধানে আসতে হবে।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দাবী একটাই৷ এই অযৌক্তিক ৫৬% কোটা বহাল না রেখে সুবিধাবঞ্চিত, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী, নারী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্মের সন্তানদের জন্য যৌক্তিক কোটা আপ্যায়ন করা হোক। অর্থাৎ একটি সংগতিপূর্ণ কোটা সংস্কার করে মেধাবীদের দেশ গড়ার সুযোগ করে দেয়া হোক।

তিনি আরো বলেন , মুক্তিযোদ্ধা কোটা বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যে ত্যাগ, তাদের জীবনদান এর সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করি৷ তাই তাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার করে নির্বাহী আদেশ দিতে হবে। মোট কোটা ৫% এ সীমাবদ্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য ১০ ই জুলাই বুধবার, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আপাতত বহাল থাকছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.