The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল। কারণ তারা ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়েছিল, পাঁচশ’ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ ভোটকেন্দ্র জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে কোমলমতি শিশুদের বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল তা জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আসলে ওইদিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মাধ্যমে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয় বা অন্য কিছু ঘটে। সেই চেষ্টা করেছিল বিএনপি, কিন্তু তারা সফল হয়নি।

খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাইকে হত্যার আসামি করে বিচার করা হবে বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বিএনপি ও তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যদি হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে না, বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপের জন্য বিএনপিকে যে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেটা তারা গ্রহণ করেছে। চিঠিটি তারা গ্রহণ করেছেন সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে। সংলাপে অংশ গ্রহণ করে তাদের যে আপত্তি কিম্বা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো সেখানে বলে আসতে পারেন। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক দলের আচরণ হবে।

সমাবেশে মহাসচিবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারি বিষয়ে ড. হাছান বলেন, লজ্জাষ্কর বিষয় যে মহাসচিবের সামনে মারামারি হয়। তাদের মহাসচিবের সামনে মারামারি হয় এবং বাকবিতণ্ডা হয়। সেই বাকবিতণ্ডা থামানোর জন্য মহাসচিবকে আবার চিল্লাচিল্লি করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জার। যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা মারামারি করে, তারা দেশটা কীভাবে চালাবে সরকারে গেলে সেটি বিবেচ্য বিষয়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সহিংসতার বিষয়ে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের বাহিরেও বিভিন্ন দলীয় ঘরনার সঙ্গে যুক্ত লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। অবশ্যই নির্বাচনে হানাহানি সেটা দুঃখজনক, কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশে সবসময় এ ধরনের হানাহানি হয়ে এসেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বাংলায় যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখনও ব্যাপক হানাহানি হয়। তবে কোনো হানাহানিই কাম্য নয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.