The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪

বাকৃবিতে নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনে ৩০ খামারিকে প্রশিক্ষণ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের অধীনে অনুষ্ঠিত “নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদন কৌশল” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় ৩০ জন লেয়ার ও ব্রয়লার উৎপাদনকারী খামারিকে আধুনিক পদ্ধতিতে নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাকৃবি অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৮ টায় থেকে ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে অবস্থিত ৩০ জন লেয়ার ও ব্রয়লার উৎপাদনকারী খামারিকে দিনব্যাপী নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। খামারিদের প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন বাকৃবি পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন এবং সহকারী প্রশিক্ষক ছিলেন ওই একই বিভাগের অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম। এছাড়াও অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে ব্রয়লার ও লেয়ার খামারিরা আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তারা এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিরাপদ মাংস ও ডিম উৎপাদনে অবদান রাখতে পারবেন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খামারিদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী ৩০ জন খামারি নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং মানসম্পন্ন মাংস ও ডিম উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করি। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দেশের পোল্ট্রি শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.