The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪

বন্যার্তদের সহযোগিতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবি প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির কবলে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুরের মানুষ। দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কুমিল্লা গোমতী নদী, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, ফেনী,নোয়াখালীর, লাঙ্গলকোট, পানিবন্দি মানুষের সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী সবাই নিজ দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়ায়েছি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগের ব্যানারে বন্যার্তের জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে জনগণকে বন্যার্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার দুঃখ গোমতী’র পাড়ের বানবাসী মানুষদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কয়েকটি টিম ভাগ করে নেন। অন্যান্য জায়গার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে একটি টিম গোমতী নদীর পাড়ে রেখে বাকি টিমগুলো ফেনী, লাঙ্গলকোটের উদ্দেশ্য রওনা দেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা গণ ত্রাণ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।

আইন বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাকিল মেহরাজ বলেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে কুমিল্লার মানুষ বন্যার মুখোমুখি হয়নি তাই বর্তমান পরিস্থিতি দেখে উনারা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে গেছেন। আমরা গতকাল থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে এই বানবাসী মানুষদের জন্য মেডিসিন, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যাবস্থা করেছি। এবং দেশ ও বিদেশের সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সবাই বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদ জুয়েল বলেন, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্নক সহযোগিতা করবে প্রশাসন। বর্তমানে বন্যার্তদের জন্য পাঁচটি নীল বাস দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ উদ্ধার কাজ শেষ হচ্ছে না তার ব্যায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ জানান, গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে , কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন।

উল্লেখ্য, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর ডেম ১৯৯৩ সালের পর এইবার খোলে দেওয়া হয়েছে, ফলশ্রুতিতে গোমতী নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোন মুহূর্তে উত্তর পাশের বাধ ভেঙে যেতে পারে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.