প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ‘মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোনটি দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজ এই দুনিয়াকেই বদলে দিয়েছে।
সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপারই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তিনি বলছেন, জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।
আমেরিকার শিকাগোর বাসিন্দা মার্টিন বরাবর চেয়েছেন, সেলফোন হবে মানুষের ব্যক্তিগত ফোন, যাতে একটা নম্বর ডায়াল করে কোনও বিশেষ জায়গা নয়, শুধু একজন বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
তিনি সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি দিনে পাঁচ শতাংশেরও কম সময় মোবাইল ব্যবহার করি।
যারা দিনে ৫ শতাংশের বেশি সময় মোবাইল ঘেঁটে কাটান, তাদের উদ্দেশেও এক গাল হেসে মার্টিন বলেন, জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন। মোবাইলের ব্যবহার কমান।
১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেন মার্টিন। সেই দিনের কথা স্মরণ তিনি বলেন, ফোনটা আড়াই পাউন্ড ওজনের ছিল। আর ১০ ইঞ্চি লম্বা। এক বার চার্জ দিয়ে ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। আর চার্জ হতে সময় লাগত ১০ ঘণ্টা।
১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কুপার। ১৯৫৪ সালে তিনি মটোরোলায় যোগ দেন।
১৯৭৩ সালে কুপার আবিষ্কার করেন বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন। তারপর তিনি ওই ফোন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জোয়েল এঙ্গেলকে কল করেন। এঙ্গেল ছিলেন এটিঅ্যান্ডটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার।