The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

প্রাথমিকে আরও ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ৫ হাজার ১৬৬ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সংগীত বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ জন ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ জন। এই দুই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৮ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আটটি শর্তে সহকারী শিক্ষকের এই দুই পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ৫ হাজার ১৬৬টি সহকারী শিক্ষক (সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা) পদ বছর বছর সংরক্ষণের ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি দেওয়া হলো।’

শিক্ষক নিয়োগের জন্য কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেসব শর্তের কথা চিঠিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের সম্মতি নিতে হবে, অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ থেকে বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে, প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করতে হবে, যে তারিখে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশ জারি করা হবে, সে তারিখ থেকে পদগুলো সৃষ্টি হবে, অস্থায়ী পদের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি আদেশ অনুসরণ করতে হবে, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদ নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগ দিতে হবে, পদ সৃষ্টির চূড়ান্ত আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব শর্ত অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং পদ দুটি সৃষ্টিতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রের কপি ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে পাঠাতে হবে।

সংগীত ও শারীরিক শিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর এখন এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে সচিব কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব তোলা হবে। সে বৈঠকে পাস হলে এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে যাবে। এরপর নিয়োগের বিষয়ে সরকারি আদেশ (জিও) করা হবে। এসব ধাপ অতিক্রম শেষে আমরা সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ৫ হাজার ১৬৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারব।’

করে নাগাদ এই দুই বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেহেতু আরও কয়েকটি ধাপ বাকি, তাই কত সময় লাগতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬। অনুমোদিত শিক্ষক পদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। সহকারী শিক্ষকের ৪৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সারা দেশে তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা (সিলেট বাদে) আগামীকাল ২০ মে ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. প্রাথমিকে আরও ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই

প্রাথমিকে আরও ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ৫ হাজার ১৬৬ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সংগীত বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ জন ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ জন। এই দুই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৮ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আটটি শর্তে সহকারী শিক্ষকের এই দুই পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ৫ হাজার ১৬৬টি সহকারী শিক্ষক (সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা) পদ বছর বছর সংরক্ষণের ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি দেওয়া হলো।’

শিক্ষক নিয়োগের জন্য কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেসব শর্তের কথা চিঠিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের সম্মতি নিতে হবে, অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ থেকে বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে, প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করতে হবে, যে তারিখে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশ জারি করা হবে, সে তারিখ থেকে পদগুলো সৃষ্টি হবে, অস্থায়ী পদের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি আদেশ অনুসরণ করতে হবে, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদ নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগ দিতে হবে, পদ সৃষ্টির চূড়ান্ত আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব শর্ত অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং পদ দুটি সৃষ্টিতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রের কপি ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে পাঠাতে হবে।

সংগীত ও শারীরিক শিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর এখন এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে সচিব কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব তোলা হবে। সে বৈঠকে পাস হলে এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে যাবে। এরপর নিয়োগের বিষয়ে সরকারি আদেশ (জিও) করা হবে। এসব ধাপ অতিক্রম শেষে আমরা সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ৫ হাজার ১৬৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারব।’

করে নাগাদ এই দুই বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেহেতু আরও কয়েকটি ধাপ বাকি, তাই কত সময় লাগতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬। অনুমোদিত শিক্ষক পদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। সহকারী শিক্ষকের ৪৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সারা দেশে তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা (সিলেট বাদে) আগামীকাল ২০ মে ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন। তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন