The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকাদাহ

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কারিগরি কর্মচারী সমিতি অর্ধদিবস কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অর্থমন্ত্রীর নামে স্লোগান দিয়ে কুশপুত্তলিকাদাহ করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে ৩য় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। অন্যদিকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা বাতিল ও কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে বাকৃবি অফিসার পরিষদ।

কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে আলাদা আলাদা ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাকৃবি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা। তবে চলছে লাইব্রেরি ও ল্যাব কার্যক্রম।

এসময় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও গবেষণা কার্যক্রম সীমিত পরিসরে এখনো চলমান রয়েছে। নির্দিষ্ট তারিখের আগেই যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় তাহলে আগামী ২০ জুলাইয়ের কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে অন্যথায় আমরা ভর্তি পরীক্ষা বর্জন করবো।

আন্দোলনরত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ সময় সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা হবে।

কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৩য় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের কর্মচারীরা অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক কর্মচারী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, আমরা ইউজিসি অভিন্ন নীতিমালার প্রতিবাদে ১লা জুলাই থেকে ৩রা জুলাই পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। সেই সাথে আগামী ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মসূচি পালন করা হবে।

অফিসার পরিষদের কর্মবিরতি সমাবেশে শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এসময় কর্মকর্তারা সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে তা দূর করে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারী দেন। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি চলবে।

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা বাতিল ও কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা সম্পর্কে অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল বাসার আমজাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের চাকুরি থেকে অবসরকালীন বয়সসীমা ৬২ বছর কিন্তু বাকৃবির কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর। সেই সাথে বেতন কাঠামোর গ্রেড বিভাজনেও বৈষম্য রয়েছে, যা অনতিবিলম্বে দূরীকরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.