The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

পাস না করা শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি নিল বশেমুরবিপ্রবি

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। কিন্তু জানা গেছে, ৩০-এর কম পাওয়া শিক্ষার্থীকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। শুধু তাই নয় নিয়ম বর্হিভুত ভাবে পোষ্য কোটার আওতা বাড়িয়ে ভাই-বোনকেও পোষ্য কোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী পোষ্য কোটায় শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তান এবং স্বামী-স্ত্রী সুযোগ পেলেও বশেমুরবিপ্রবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমে ভাই-বোনও পোষ্য কোটার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময় পোষ্য কোটায় ভাই-বোন অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরবর্তীতে জটিলতা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে পোষ্য কোটায় ভাই-বোন ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। যা আবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে চালু করা হয়।

ভর্তি প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই প্রক্রিয়ায় মোট ১৩ জন ভর্তির আবেদন করেন। যাদের মধ্যে তিনজনের জিএসটি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিলো ৩০-এর কম। পরবর্তীতে দুজনকে বাদ দেয়া হয় এবং একজন শিক্ষার্থীকে ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়।

ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের ভাই বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে উপাচার্যের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পোষ্যকোটায় ভাই-বোনদের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে এবং শুধুমাত্র ঔরসজাত সন্তানদের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে। তারা পাস না করলে এটা বাতিল হবে। আর ভাই-বোন কোটায় ফেল করা শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ভাই-বোন কোটার বিষয়টি আমার একার সিদ্ধান্তও নয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.