The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৪

পবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার কনফারেন্স

পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ফর রেজিলেন্ট কোস্টাল বাংলাদেশ প্রকল্পের আয়োজনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিন ব্যাপীনআন্তর্জাতিক ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সকাল ১০ টা থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামান্ত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি এমবাসেডর মি. থুইস ওরসা, প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আলমগীর কবির, প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো: ইকতিয়ার উদ্দিন, নেদারল্যান্ড অংশের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. ফুলকো লুডউইগ প্রকল্প সমন্বয়কারী মিস ক্যাথরিন।

কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওয়ায়েস কবির, নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফুলকো লুডউইগ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সালমা বেগম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম.জি মোস্তফা আমিন।

বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশ একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকাকে প্রভাবিত করছে, বিশেষ করে যারা কৃষি, মৎস্য খাতে নিয়োজিত। অনাকাঙ্খিত আবহাওয়ার ধরণ, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং ক্রমবর্ধমান বৃষ্টিপাতের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, যা ফসলের ফলন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ কৃষি ঐতিহ্যের দেশ। সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী খাত সবাই মিলে এমন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে যা আমাদের একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক কৃষি খাতের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে”। কনফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে যে কীভাবে স্থানীয় সম্পদ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশগতভাবে সুস্থ এগ্রিকালচার উন্নয়ন করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামান্ত বলেন,” জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার বর্তমানে একটি যুগোপোযোগী উদ্যোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে সম্মিলিত কাজ করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে এই ধারনা বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।”

কনফারেন্সে দেশী বিদেশি শতাধিক গবেষকগন অংশগ্রহণ করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.