The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

ধর্ম শিক্ষক পদে গ্রেড জটিলতার বিষয়ে যা বলছে মাউশি

সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৬ হাজার শিক্ষক। গত ৩১ জানুয়ারি তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে গ্রেড জটিলতা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন, মাস্টার্স ডিগ্রি থাকলে তাদের সরাসরি দশম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) ডিগ্রির প্রয়োজন হয়নি। তবে, চলতি ২০২১ সালের এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, ফাজিল/সমমান ও বিএড ডিগ্রি থাকলে দশম গ্রেড পাবেন শিক্ষকরা। শুধু ফাজিল/সমমান ডিগ্রি থাকলে ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সুপারিশপত্রেও ২০২১ সালের নীতমালা অনুসরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উল্লিখিত পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা সংশয়ে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও নির্দিষ্ট গ্রেডের কথা বলতে পারছেন না।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির এই প্রতিবেদক।

মাউশির উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সে অনুযায়ী, বিএড ডিগ্রি থাকলে দশম গ্রেড। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও পাবে। নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) দুর্গা রানী সিকদার বলেছেন, ‘নীতিমালায় যদি ফাজিল ও সমমানের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ থাকে, তাহলে অবশ্যই দশম গ্রেডের জন্য বিএড করতে হবে।’

মাউশির পরিচালক (স্কুল) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘নীতিমালায় যেভাবে বলা আছে, সেটা মানার বিষয়ে সব উপজেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। নীতিমালার বাইরে কেউ কোনো আবেদন সাবমিট করলে তা কার্যকর হবে না।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কেউ ১০ম আবার কেউ কেউ ১১তম গ্রেড বলছেন, এক্ষেত্রে কোনটি ধরা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ফাজিল/সমমানের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ আছে, তাহলে অবশ্যই বিএড লাগবে। কেউ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন পাঠালে অবশ্যই সেটি যাচাই করে নীতিমালা দেখে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে, কোনো উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নীতিমালা না দেখে আবেদন সাবমিট করলেও সেটি সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে জেলা বা বিভাগীয় অফিস থেকে ফেরত যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কিভাবে নিয়োগ হয়েছে, সেটা এখন বিবেচ্য নয়। এখন ২০২১ সালের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। দশম গ্রেড পেতে হলে অবশ্যই ফাজিল/সমমান ডিগ্রির পাশাপাশি বিএড ডিগ্রি লাগবে। এটাই ফাইনাল। তবে, মাদ্রাসায় যদি একই পদে দশম গ্রেড দেওয়া হয়, তাহলে সেটিও আমরা বসে ঠিক করব। কারণ, একই পদে দুই জায়গায় দুই রকম গ্রেডের সুযোগ নেই।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ধর্ম শিক্ষক পদে গ্রেড জটিলতার বিষয়ে যা বলছে মাউশি

ধর্ম শিক্ষক পদে গ্রেড জটিলতার বিষয়ে যা বলছে মাউশি

সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৬ হাজার শিক্ষক। গত ৩১ জানুয়ারি তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে গ্রেড জটিলতা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন, মাস্টার্স ডিগ্রি থাকলে তাদের সরাসরি দশম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) ডিগ্রির প্রয়োজন হয়নি। তবে, চলতি ২০২১ সালের এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, ফাজিল/সমমান ও বিএড ডিগ্রি থাকলে দশম গ্রেড পাবেন শিক্ষকরা। শুধু ফাজিল/সমমান ডিগ্রি থাকলে ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সুপারিশপত্রেও ২০২১ সালের নীতমালা অনুসরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উল্লিখিত পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা সংশয়ে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও নির্দিষ্ট গ্রেডের কথা বলতে পারছেন না।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির এই প্রতিবেদক।

মাউশির উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সে অনুযায়ী, বিএড ডিগ্রি থাকলে দশম গ্রেড। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও পাবে। নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) দুর্গা রানী সিকদার বলেছেন, ‘নীতিমালায় যদি ফাজিল ও সমমানের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ থাকে, তাহলে অবশ্যই দশম গ্রেডের জন্য বিএড করতে হবে।’

মাউশির পরিচালক (স্কুল) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘নীতিমালায় যেভাবে বলা আছে, সেটা মানার বিষয়ে সব উপজেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। নীতিমালার বাইরে কেউ কোনো আবেদন সাবমিট করলে তা কার্যকর হবে না।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কেউ ১০ম আবার কেউ কেউ ১১তম গ্রেড বলছেন, এক্ষেত্রে কোনটি ধরা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ফাজিল/সমমানের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রির কথা উল্লেখ আছে, তাহলে অবশ্যই বিএড লাগবে। কেউ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন পাঠালে অবশ্যই সেটি যাচাই করে নীতিমালা দেখে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে, কোনো উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নীতিমালা না দেখে আবেদন সাবমিট করলেও সেটি সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে জেলা বা বিভাগীয় অফিস থেকে ফেরত যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কিভাবে নিয়োগ হয়েছে, সেটা এখন বিবেচ্য নয়। এখন ২০২১ সালের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। দশম গ্রেড পেতে হলে অবশ্যই ফাজিল/সমমান ডিগ্রির পাশাপাশি বিএড ডিগ্রি লাগবে। এটাই ফাইনাল। তবে, মাদ্রাসায় যদি একই পদে দশম গ্রেড দেওয়া হয়, তাহলে সেটিও আমরা বসে ঠিক করব। কারণ, একই পদে দুই জায়গায় দুই রকম গ্রেডের সুযোগ নেই।’

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন