The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৪

জাবিতে সহপাঠীর বিরুদ্ধে ফোন চুরির অভিযোগ, প্রক্টরের কাছে বিচার দাবি

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফোন চুরির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, ক্লাসের অন্যান্যদের হুমকি ধামকি দেওয়া এবং জুয়া ও মাদকে আসক্ত থাকায় নিজেদের অনিরাপদ দাবি করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বহিষ্কার চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদনপত্র দিয়েছেন তারই সহপাঠীরা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর বরাবর প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত এক আবেদপত্রে এই দাবি জানান।

অভিযুক্ত প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী তারিকুল তারিক এবং ফোন চুরি যাওয়া ভুক্তভোগী একই বিভাগের একই ব্যাচের জান্নাতুল ফেরদৌস।

আবেদনপত্রে বলা হয়, ২২ তারিখ ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্রের সামনে থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসের ফোন চুরি করে তারিকুল। পরে ২৪ তারিখ ফোন চুরির বিষয়টি স্বীকার করে এবং তা বিক্রি করে দিয়েছে বলেও জানায়। সবার চাপে ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২৫ তারিখ তরিকুল ফোন ফেরত দিলেও ফোনে থাকা কোন ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

এতে আরো বলা হয়, অভিযুক্তের জুয়া, মাদকে আসক্ত এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়শই হুমকি দিয়ে থাকেন। এতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই এমন বিকৃত মস্তিষ্কের একজন বিভাগ ও হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার ফোন হারালে আমরা তরিকুলকে সন্দেহ করি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ২ দিন পর ফোন চুরির কথা স্বীকার করে এবং সবার চাপে ফোন দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু আমার গুরুত্বপূর্ণ রিচার্স পেপারসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সে ডিলিট করে দিয়েছে। কোন ডকুমেন্টই পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, তারিকুল দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল, কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখায় আমরা জানতে পারিনি । সে হল এবং ডিপার্টমেন্টের সবার কাছে প্রচুর টাকা ধার করা, ফেরত না দেওয়া এবং এক পর্যায়ে চুরি করায় অভ্যস্ত হয়। হলে সে একাধিকবার টাকা চুরি করেছে এবং মানসিকভাবে বিকৃত হয়ে গেছে। সম্প্রতি এক আমাদের এক বান্ধবীর ফোন সে চুরি করে ধরা পড়ে। আমরা তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রক্টর বরবার অভিযোগ দিয়েছি।

একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত তারিকুল তারিকের সাথে মুঠোফোনে কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, এ অভিযোগ আমরা পেয়েছি, আগামী পরশু আমাদের একটি আলোচনা সভা আছে। এরপর বলতে পারবো আমরা কি ব্যবস্থা নিব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.