The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪

জাতির জনকের সমাধিতে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা)। শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ডুসার উপদেষ্টারা, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন

। একইসঙ্গে দুর্নীতি বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন তারা।

এ সময় ডুসার উপদেষ্টা পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, ইকবাল হোসেন, সভাপতি মো. মশিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ ২৪ জেলা কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা। দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ সাধন করার লক্ষ্যে দুদক সৎ, মেধাবী, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ন্যায় এ সংস্থাটির একটি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পেশাগত মান উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে সামষ্টিক কল্যাণ, পারস্পরিক ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘ দিন থেকেই তীব্রভাবে অনুভূত হয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে ডুসার যাত্রা শুরু হলো।

সংগঠনটি নেতারা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্নে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে লালন করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিবিরোধী একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতিতে ও লেখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন। দেশ পুনর্গঠনে দুর্নীতি একটি বিরাট অন্তরায় সে উপলব্ধি থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করে আত্মশুদ্ধির উপদেশ ও আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখনও দুর্নীতি ও সুশাসন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুফল সকল মানুষের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। সরকার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে একটি ন্যায় বিচারভিত্তিক সামাজিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে। তবে কাজটি এককভাবে সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বৃহত্তর সমাজকেও একইভাবে সচেষ্ট হতে হবে দুর্নীতিবিরোধী এই সামাজিক আন্দোলনে।

তাই দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা) মনে করছে তার নিজস্ব কর্মপরিধির মধ্যে থেকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে প্রত্যেকেই ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তাদের সামষ্টিক উদ্যোগ সফল হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. জাতির জনকের সমাধিতে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা

জাতির জনকের সমাধিতে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা)। শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ডুসার উপদেষ্টারা, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত করেন

। একইসঙ্গে দুর্নীতি বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন তারা।

এ সময় ডুসার উপদেষ্টা পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, ইকবাল হোসেন, সভাপতি মো. মশিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ ২৪ জেলা কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা। দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ সাধন করার লক্ষ্যে দুদক সৎ, মেধাবী, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ন্যায় এ সংস্থাটির একটি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পেশাগত মান উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে সামষ্টিক কল্যাণ, পারস্পরিক ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘ দিন থেকেই তীব্রভাবে অনুভূত হয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে ডুসার যাত্রা শুরু হলো।

সংগঠনটি নেতারা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্নে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে লালন করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিবিরোধী একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতিতে ও লেখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন। দেশ পুনর্গঠনে দুর্নীতি একটি বিরাট অন্তরায় সে উপলব্ধি থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করে আত্মশুদ্ধির উপদেশ ও আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখনও দুর্নীতি ও সুশাসন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুফল সকল মানুষের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। সরকার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে একটি ন্যায় বিচারভিত্তিক সামাজিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে। তবে কাজটি এককভাবে সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বৃহত্তর সমাজকেও একইভাবে সচেষ্ট হতে হবে দুর্নীতিবিরোধী এই সামাজিক আন্দোলনে।

তাই দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা) মনে করছে তার নিজস্ব কর্মপরিধির মধ্যে থেকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে প্রত্যেকেই ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তাদের সামষ্টিক উদ্যোগ সফল হবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন