The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪

ছুটি না বাড়িয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা

করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা শেষ হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান (ক্লাস) শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর ছুটি আর না বাড়িয়ে সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা দফায় দফায় আর ছুটি বাড়াতে চাই না। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে এবং অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে ১৪ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একবারে বন্ধ রাখা নয়।’

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দীপু মনি সংবাদিকদের বলেন, ‘অতিমারি এখনও চলে যায়নি। তবে এখন সংক্রমণ কমছে। আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। ’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে দেশের সব বয়সী ১০ কোটিও বেশি মানুষকে।

এদিকে, শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেন শেষ করা যায় সে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কিছু শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে প্রয়োজনীয় সময় আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ হবে না। তারা ছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা নেওয়া ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর সরকার যেদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদানের নির্দেশ দেবে সেদিন থেকেই পাঠদান শুরু করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দীর্ঘ আঠার মাস বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান শুরু হয় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক ও ২৩ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরপর সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আবার ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দুই দফায় এক মাস বন্ধের পর করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আরেক দফা ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রেখেছে।

এদিকে, মুখোমুখি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে শ্রেণি পাঠদান চলছে। এছাড়া বিটিভিতেও শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. ছুটি না বাড়িয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা

ছুটি না বাড়িয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা

করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা শেষ হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান (ক্লাস) শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর ছুটি আর না বাড়িয়ে সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা দফায় দফায় আর ছুটি বাড়াতে চাই না। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে এবং অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে ১৪ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একবারে বন্ধ রাখা নয়।’

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দীপু মনি সংবাদিকদের বলেন, ‘অতিমারি এখনও চলে যায়নি। তবে এখন সংক্রমণ কমছে। আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। ’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে দেশের সব বয়সী ১০ কোটিও বেশি মানুষকে।

এদিকে, শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেন শেষ করা যায় সে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কিছু শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে প্রয়োজনীয় সময় আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ হবে না। তারা ছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা নেওয়া ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর সরকার যেদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদানের নির্দেশ দেবে সেদিন থেকেই পাঠদান শুরু করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দীর্ঘ আঠার মাস বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে সশরীরে শ্রেণি পাঠদান শুরু হয় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক ও ২৩ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরপর সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আবার ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দুই দফায় এক মাস বন্ধের পর করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আরেক দফা ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও সরাসরি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রেখেছে।

এদিকে, মুখোমুখি শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে শ্রেণি পাঠদান চলছে। এছাড়া বিটিভিতেও শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন