The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪

৫৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বললেন ‘সম্মানী’ নিয়েছি !!

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগের জন্য মোটা টাকার ঘুষ নিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। তার ঘুষ গ্রহণের দৃশ্য ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে ঘুষ নয় বরং সম্মানী হিসেবে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন তরিকুল ইসলাম।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষা কর্মকর্তা ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে গাড়ি ভাড়া হিসেবে আরও ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শনিবার উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদ পূরনের জন্য নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ প্রহরী, অফিস সহায়ক ও পরিছন্নতা কর্মী পদে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতে সহযোগিতা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে কাদের নিয়োগ দেওয়া হলো সেটিও টাঙানো হয়নি নোটিশ বোর্ডে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে গিয়ে টেবিলের আড়ালে তার হাতে একটি টাকার বান্ডিল তুলে দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা নিয়ে তার কোটের ডান পকেটে রাখেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে আরও কিছু টাকা দিলে শিক্ষা কর্মকর্তা টাকাটা গুনে তার কোটের বাম পকেটে রাখেন। এ সময় পাশেই বসা ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিজির প্রতিনিধির পাঠানো মনোনীত কর্মকর্তা।

এ সময় ডিজির প্রতিনিধির মনোনীত কর্মকর্তাকেও টাকা দিতে দেখা যায় প্রধান শিক্ষককে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী  বলেন, আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। কিন্তু টাকা দেওয়ার ভিডিও আছে বললে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে মো. তরিকুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ৫০ হাজার টাকা নিয়েছি আমার সম্মানী হিসেবে। এটা ঘুষ নয়। আর ৩ হাজার টাকা নিয়েছি গাড়ি ভাড়া হিসেবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্লাহ বলেন, এত টাকা কারো অনারিয়াম (সম্মানী) হতে পারে না। আগামীকাল অফিসে গিয়ে আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. তমাল হোসেন বলেন, আমরা অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর ঘটনা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.