The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩ কমিটির পরিবর্তন, দেখা মেলেনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির

বাংলা কলেজ প্রতিনিধি: বাঙলা কলেজে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর কমিটি হয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম ১ বছরের জন্য মুজিবুর রহমান অনিককে সভাপতি ও সোলায়মান মিয়া জীবনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেন। তারপর ২০১৬ সালে সাইফুর রহমান সোহাগ ও এসএম জাকির হোসেন বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন।

২০১৯ সালের ২১ মার্চ মাস তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ আর নতুন নেতৃত্ব পায়নি। এ হিসাবে প্রায় ৮ বছর আগে ১ বছর মেয়াদে হয়েছিল বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি।

একে একে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে ৩ বার। আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো পরিবর্তন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের ‘স্বাক্ষর ক্ষমতা বন্ধ’ হয়ে যাওয়ায় তারা আর নতুন করে কোন কমিটি অনুমোদন দিতে পারবেন না। এ কারণে এবারও ভাগ্য খুলছে না বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীদের।

জানতে চাইলে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান অনিক বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ২ বছর আর জেলা ও জেলা সমমনা ইউনিটের মেয়াদ ১ বছর। সাধারণত ২ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর থাকে আর বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি তো আছে ৫ বছর ধরে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি একটা অনুরাধ করব, নেত্রী যেন ৩০তম সম্মেলনে নেতা নির্বাচন করার আগে তাদের একবার জিগ্যেস করেন যে, তাদের কত বছর দিলে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব ইউনিটের কমিটিগুলো দিতে পারবে।

কমিটি না থাকলে সংগঠনের গতিশীলতা বন্ধ হয়ে যায় বলে মনে করেন বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পলাশ।

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহাগ খান বলেন, কমিটি ছাড়া তো কোন সংগঠন চলতে পারে না। সংগঠনের গতি মন্থর হয়ে যায়। কমিটি থাকলে রাজনীতির চর্চা হয়, নেতৃত্ব থাকে, যেকোন যায়গায় গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়।

ছাত্রনেতা মোঃ রায়হান উদ্দিন বলেন, ৮ বছর আগে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। এরপর আরো ৮ টা ব্যাচ নেতৃত্ব দেয়ার মতো গড়ে উঠেছে। এখন নেতৃত্ব জটের কারণে তারা হতাশায় ভুগছে, রাজনৈতিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। রাজনৈতিক সঠিক চর্চার জন্য ছাত্রলীগের কমিটি অত্যন্ত জরুরি।

ছাত্রনেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম সাগর বলেন, এভাবে চলতে থাকলে জঙ্গিতে পরিণত হবে ক্যাম্পাস গুলো। তাই আমরা চাই দ্রুত সুন্দর ভাবে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে যেন কমিটি হয়।
You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. রাজনীতি
  3. কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩ কমিটির পরিবর্তন, দেখা মেলেনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩ কমিটির পরিবর্তন, দেখা মেলেনি বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির

বাংলা কলেজ প্রতিনিধি: বাঙলা কলেজে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর কমিটি হয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম ১ বছরের জন্য মুজিবুর রহমান অনিককে সভাপতি ও সোলায়মান মিয়া জীবনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেন। তারপর ২০১৬ সালে সাইফুর রহমান সোহাগ ও এসএম জাকির হোসেন বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেন।

২০১৯ সালের ২১ মার্চ মাস তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ আর নতুন নেতৃত্ব পায়নি। এ হিসাবে প্রায় ৮ বছর আগে ১ বছর মেয়াদে হয়েছিল বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি।

একে একে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে ৩ বার। আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো পরিবর্তন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের ‘স্বাক্ষর ক্ষমতা বন্ধ’ হয়ে যাওয়ায় তারা আর নতুন করে কোন কমিটি অনুমোদন দিতে পারবেন না। এ কারণে এবারও ভাগ্য খুলছে না বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীদের।

জানতে চাইলে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান অনিক বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ২ বছর আর জেলা ও জেলা সমমনা ইউনিটের মেয়াদ ১ বছর। সাধারণত ২ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর থাকে আর বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি তো আছে ৫ বছর ধরে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি একটা অনুরাধ করব, নেত্রী যেন ৩০তম সম্মেলনে নেতা নির্বাচন করার আগে তাদের একবার জিগ্যেস করেন যে, তাদের কত বছর দিলে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব ইউনিটের কমিটিগুলো দিতে পারবে।

কমিটি না থাকলে সংগঠনের গতিশীলতা বন্ধ হয়ে যায় বলে মনে করেন বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পলাশ।

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহাগ খান বলেন, কমিটি ছাড়া তো কোন সংগঠন চলতে পারে না। সংগঠনের গতি মন্থর হয়ে যায়। কমিটি থাকলে রাজনীতির চর্চা হয়, নেতৃত্ব থাকে, যেকোন যায়গায় গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়।

ছাত্রনেতা মোঃ রায়হান উদ্দিন বলেন, ৮ বছর আগে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। এরপর আরো ৮ টা ব্যাচ নেতৃত্ব দেয়ার মতো গড়ে উঠেছে। এখন নেতৃত্ব জটের কারণে তারা হতাশায় ভুগছে, রাজনৈতিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। রাজনৈতিক সঠিক চর্চার জন্য ছাত্রলীগের কমিটি অত্যন্ত জরুরি।

ছাত্রনেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম সাগর বলেন, এভাবে চলতে থাকলে জঙ্গিতে পরিণত হবে ক্যাম্পাস গুলো। তাই আমরা চাই দ্রুত সুন্দর ভাবে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে যেন কমিটি হয়।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন