The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪

কুবি শিক্ষককে প্রক্টরের ঘুষি; অপসারণ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে একক অবস্থান

কুবি প্রতিনিধি: গত ২৮ এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এফএম. আবদুল মঈনের নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার সময় প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেস-উল-ইসলামকে মুখে ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে ।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও লিখিত অভিযোগের ১৮ দিন পেরোলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিচার না পাওয়ায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তিনি।

বুধবার (১৫মে) ১১টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে তিনি এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতারা এসে তার সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, ভিসির সকল অপকর্মে সহযোগিতা করতে প্রক্টর বহিরাগতদের নিয়ে বলয় তৈরি করেছেন। এই জন্য ভিসি পুরস্কার হিসেবে প্রক্টরের পিএইচডি সিন্ডিকেটের যাচাই-বাছাই কমিটি সুপারিশ না করলেও গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্য সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরবার চিঠি দেন। এরপর ৯০তম সিন্ডিকেট ওনার পিএইচডি নথিভুক্ত করা হয় এবং বিভাগে জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও সিনিয়র শিক্ষককে পদোন্নতি না দিয়ে প্রক্টরকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র বানানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু হল ও নজরুল হলের ৩০-৩৫ জন ছাত্রলীগের কর্মী আহত হয়। এতেও নীরব ভূমিকা পালন করেন প্রক্টর। পরে এ ঘটনা পরের দিনও গড়ায়।

গেল বছরের ৩ অক্টোবর ফুটবল খেলার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উপাচার্যের সামনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন হৃদয়কে মারধর মারেন প্রক্টর। তবে তিনি সে সময় বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এদিকে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক (২০১৫ সালে গঠিত কমিটির) মোটরবাইক শোডাউন, ককটেল বিস্ফোরণ, ফাঁকাগুলি ছুড়েছে বহিরাগতরা। এতে ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও নিরবতা পালন করে প্রক্টর। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশের সহযোগিতায় বের হতে সাহায্য করেন এবং আবাসিক হলসমূহ সিলগালা করে দেয় প্রশাসন।

এছাড়াও গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির জয়ী প্রার্থীরা উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে সেখানে প্রক্টরের নেতৃত্বে কর্মচারী ও চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করলে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি। এর প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাহমুদুল হাসান রাহাত ও কামরুল হাসান শিখন।

প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে একা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মোকাদ্দেস-উল ইসলাম। তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপর সন্ত্রাসী হামলায় এখনো কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপাচার্য ও প্রক্টর, তাদের দায়িত্ব ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু এই রক্ষক এখন ভক্ষক হয়েছে গিয়েছে। ২৮ তারিখে সন্ত্রাসী হামলায় আমি নিজেও ভুক্তভোগী। অভিযোগ করেছি, কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো প্রকার জবাব পাইনি। আমি মনে করি প্রশাসন তার যোগ্যতা হারিয়েছে। আমি এমন প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষকদেরকে আঘাত করেছে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। বহিরাগত অস্ত্রধারী এবং মামলার আসামীদেরকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে অনিরাপদ করে তুলেছে এই প্রক্টরের নেতৃত্বে। অচিরেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তা নাহলে শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.