ডেস্ক রিপোর্ট: সাভারে আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। এরপর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম জানান, শতাধিক মানুষকে গুলি করে হত্যাসহ পুলিশের এপিসি থেকে শিক্ষার্থী ইয়ামিনকে নির্মমভাবে ফেলে দেয়া ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শহিদুল। একজন শিক্ষার্থীকে অর্ধমৃত অবস্থায় এভাবে পুলিশের গাড়ি থেকে ফেলে দেয়ায় তার দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির জানান, সাভারের পুলিশ কর্মকর্তা শাহিদুলের বর্তমান কর্মস্থল ছিল কক্সবাজার। বুধবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার ওয়ারেন্ট মূলে তাকে সেখানে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি জানান, টুঙ্গিপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার সকালে শাহিদুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। কারণ সেখান থেকেই তার ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছিল। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
শাহীনুর কবির আরও জানান, সাভারে শিক্ষার্থী ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় শাহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা আছে। একই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালেও একটি মামলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন বিকেলে আশুলিয়ায় লাশের স্তূপে আরও লাশ গুনে গুনে ভ্যানে তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।